কোবানিতে আরও বিমান হামলার আর্জি কুর্দিদের
শনিবার কোবানিতে আইএস’র দখল আরো সম্প্রসারিত হওয়ার প্রেক্ষিতে কুর্দিরা ওই আর্জি জানান।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠি ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বলেছে, তুরস্ক সীমান্ত খুলে দিয়ে কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহের সুযোগ না দিলে কুর্দিদের পরাজয় ঠেকানো যাবে না।কিন্তু এ ধরনের কোনো উদ্যেগ নেয়ার বিষয়ে আঙ্কারা এখনো গা-ছাড়া ভাব দেখিয়ে যাচ্ছে। আঙ্কারার ধারণা, কোবানিতে লড়াইরত আইএস ও কুর্দি উভয় গোষ্ঠিই ‘সন্ত্রাসী”।
চারদিন আগে কোবানির ভিতরে ও চারপাশে আইএস’র অবস্থানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করে। কুর্দিদের প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠি ওয়াইপিজি এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই বিমান হামলায় আইএস’র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে পরবর্তী দুইদিনে তা তেমন প্রভাব ফেলেনি।কোবানিতে লড়াইরত এক কুর্দি সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলায় আইএস’র অবস্থান শনাক্ত করা বিমান হামলাকারীদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে।
কোবানি প্রতিরোধ কাউন্সিলের প্র্রধান এসমাত আল শেখ বলেন, “আমাদের একটি সমস্যা আছে, সেটি হচ্ছে ঘরে ঘরে লড়াই হচ্ছে।”“বিমান হামলায় আমাদের সুবিধা হচ্ছে, কিন্তু আইএস পূর্ব দিক থেকে ট্যাঙ্ক ও কামান নিয়ে আসছে। আমরা তাদের ট্যাঙ্কসহ দেখিনি, কিন্তু গতকাল আমরা টি-৫৭ ট্যাঙ্ক দেখেছি,” বলেন তিনি।আইএস তার যোদ্ধাদের শূন্যস্থান পূরণ ও রসদ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারলেও কুর্দিরা তা পারছে না। শহরটির পূর্বাংশের অনেকটা ইতোমধ্যেই আইএস’র দখলে চলে গেছে। এতে কুর্দিদের পক্ষে তুর্কি সীমান্ত ছাড়া অন্য কোনো দিকে থেকে রসদ সরবরাহ পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অভজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর পরিচালক রামি আব্দেলরাহমান বলেছেন, “(আইএস) যোদ্ধা ও রসদ সরবরাহ পাচ্ছে, অপরদিকে তুর্কি কোবানিতে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে রেখেছে। প্রতিরোধ সত্বেও এই অবস্থা চলতে থাকলে কুর্দি বাহিনী জ্বালানি ছাড়া গাড়িতে পরিণত হবে।”