Transcripts of important discussions at Tritiyo Matra episodes.

Tritiyo Matra Episode 6557

সমস্যাটা হচ্ছে যেটা আপনি ব্যাখ্যা করেছেন একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিলাম বিশেষ করে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন গুলো এসেছিল ৭ ই ফেব্রুয়ারি তারা বাংলাদেশের একযোগে আমরা যে ভ্যাকসিন দেওয়া টা শুরু করেছিলাম তারপর হঠাৎ করে এটা বাধাগ্রস্ত হলো ভারতীয় কোম্পানি ভ্যাকসিন টা দিতে না পারার কারণে.

আরো ভালো হতো এবং উনি আরো বললেন যে ভ্যাকসিন আসতে পারে ডিসেম্বরের নাগাদ বেশিরভাগ ওই ভ্যাকসিন পাবে| ডিসেম্বর পর্যন্ত কত লোক মারা যাবে সেটা কি চিন্তা করেছেন একটু? আর আপনি লকডাউন বা স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে চান মানুষ খাওয়া দেবে কে?

Tritiyo Matra Episode 6555

এখন যেই পরিস্থিতিটি আমরা আছি সেই পরিস্থিতিটি অর্থাৎ করোনা মহামারী যে সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পূর্ণই কিন্তু একটি প্রকৃতির সৃষ্টির বিষয়। এটি কোন মনুষ্যসৃষ্ট বিষয় নয়| সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে প্রকৃতির এই রুদ্ররস থেকে দেশকে দেশের জনগণকে রক্ষা করবার জন্য। তাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি করে সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন।

পৃথিবীর আরো অনেকগুলো দেশ ছিল| সেসময় আপনি করেননি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে| আপনি দেখেন যখন আগে ১৭ জন ১৮ জন মারা যেত  একটা পর্যায়ে যখন লকডাউন দিয়েছে গত রোজার ঈদের সময়কার কথা আমি বলছি জিল্লুর ভাই আপনি নিজেও সেখানে সাক্ষী যে হয়তো ২৩ পারসেন্ট ইনফেকটেড ১৯ পারসেন্ট ১৭ পারসেন্ট কেন লকডাউনের কারণে ব্যবস্থাপনার কারণে| 

Tritiyo Matra Episode 6553

প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে অবশ্য অনেক গাইড করেছেন আমরা চেষ্টা করছি আমরা আরো ৫০ জন ইন্সপেক্টর নিয়েছি| পুরো ব্যাপারটা মনে হয় ৫০ বছর স্বাধীনতার পরেও আমরা শুরু করেছি, করছি, করব, চেষ্টা চলছে মাত্র, যেন ভূমিষ্ঠ সন্তান| 

এখানে সিকিউরিটির সাথে সেফটির একটি সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়| অর্থাৎ তারা হয়তোবা মনে করে যে এখান থেকে মালামাল লুট হতে পারে, চুরি হতে পারে| সুতরাং এদেরকে আটকে রাখব আটকে থাকুক “keep on work going on” কথাটি অনেকটা এরকম হয়| 

Tritiyo Matra Episode 6550

আমরা এখনো দেখছি যে আমাদের পাশের দেশ ভারতে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে করেছে তারা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে নিয়ন্ত্রণের রেখায় চলে এসেছে| কিন্তু তাদের মধ্যে উদ্বিগ্ন আছে যে আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবর এ আবার তৃতীয় কেউ হতে পারে| এখন অস্ট্রেলিয়াতে লকডাউন চলছে, আপনার জাপানে লকডাউন চলছে

আপনি যখন আপনার পরিবারকে যখন কথাগুলো বলবেন তখন যেভাবে শুনবে আরেকজনের কথাগুলো শুনবেনা| সেই কারণে সামাজিক আন্দোলন আমরা  ডেভলপ করতে পারিনি| যা হয়ে গেছে গেছে এখন কিন্তু আমাদের কোন স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে আমাদের  কিন্তু আপোষ করার সুযোগ নেই| 

Tritiyo Matra Episode 6549

আমাদের দেশী পাল্লা পরিপূর্ণভাবে একটা কল্যাণরাষ্ট্র করতে পারিনি যে প্রত্যেকটা নাগরিকের খাওয়া,পরা, থাকা তাদের সেই ব্যবস্থা রাষ্ট্রের প্রতি টা করা সম্ভব হচ্ছে না। ঈদের লক্ষ আছে। কাজে সেখানে আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে অনেক|যাই হোক সে সংক্রমণটা বাড়তে বাড়তে যখন গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়লো এবং শনাক্তের হার শতকরা ২০ এর উপরে চলে গেলত খনই সারাদেশে এই জনস্বাস্থ্যের বিধি নিষেধ, যেটা লকডাউন নামে পরিচিত, লকডাউন কথাটা আমি পছন্দ করি না একেবারেই।

আমরা আসলে কোন দিকে যাচ্ছি সেই দিকটা আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি কারণ আগে থেকে আসলে আমাদের কাছে যে লোকতাত্ত্বিক তথ্য ছিল সেই তথ্য দিয়ে আমাদের যে প্রজেকশন ছিল সেই প্রজেকসনে আমরা কিন্তু জুলাইয়ের ১০ তারিখ থেকে আমাদের পার ডে ১০ হাজারের মতো ইনফেকশন রেট আসার কথা ছিল যে প্রজেকশন ছিল|