খালেদাই পালাবার পথ পাবেন না: হানিফ
বুধবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছেন। ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে আপনি নিজেই পালানোর পথ পাবেন না।”ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার এক জনসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের ভয় পান না জানিয়ে ক্ষমতাসীনদের ‘পালানোর পথ’ তৈরি রাখার পরামর্শ দেন।খালেদা বলেন, “আমি কখনোই গ্রেপ্তারে ভয় পাই না। আমি সরকারকে বলব, আমাকে বন্দি করার আগে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে রাখুন। নইলে আলম-উলামাসহ জনগণ এমনভাবে রাস্তায় সমবেত হবে, আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।”
এর জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেন, “তারা জানে যে দেশের মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। এ কারণে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে।”‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র’ রুখে দিতে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।বিএনপিকে ‘নেতিবাচক রাজনীতির’ বদলে ‘ইতিবাচক রাজনীতির’ চর্চায় আসার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, “আপনার জনসভায় মানুষের সমাগম হয়েছে। অথচ হরতালে কোনো নেতাকর্মী মাঠে নামেনি। এ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ।“মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে হরতালের মতো কর্মসূচি তারা চায় না। নেতিবাচক রাজনীতি ছেড়ে ইতিবাচক রাজনীতির পথে আসুন। কোনো ইস্যু ছাড়া আন্দোলন করে লাভ হবে না।”বিচার বিভাগের প্রতি খালেদা জিয়ার কোনো ‘আস্থা’ নেই বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন, অথচ বিচার বিভাগের প্রতি আপনার বিশ্বাস নেই। আপনার নামে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। বার বার সময় পিছিয়ে আপনি মামলার কাজ বাধাগ্রস্ত করছেন।”অন্যের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে খালেদাকে পরামর্শ দেন হানিফ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৩৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তারানা হালিম।অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অভিনেতা এটি এম শামসুজ্জামান ও অরুণ সরকার রানা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।