আজব টকশোর নিরপেক্ষ ময়নাতদন্ত! (গোলাম মাওলা রনি)
কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের ঝিনুক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সেদিন একটু আশ্চর্য হয়েই পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, লোকটি কে? কিন্তু ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউই লোকটির পরিচয়, পদ-পদবি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। লোকটি ২-৩ জন স্থানীয় ষণ্ডাগণ্ডা প্রকৃতির যুবক এবং ৩-৪ জন বন্দুকধারী পুলিশের কনস্টেবলকে নিজের বডিগার্ড বানিয়ে ঝিনুক মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং এ দোকান ও দোকানে উঁকিঝুঁকি মেরে শামুক-ঝিনুকের মালা এবং বার্মিজ আচার এবং জুতা-স্যান্ডেলের দরদাম জিজ্ঞাসা করছিলেন। তিনি খুব গম্ভীর ভাব ফুটিয়ে তুলে ঘোরাফেরা করছিলেন এবং বেশ ডাঁটফাট দেখিয়ে কথাবার্তা বলে লোকজনের মনে কৌতূহল এবং কিঞ্চিৎ ভীতির সঞ্চার করে দিচ্ছিলেন। দোকানদাররা লোকটির পরিচয় জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন এবং লোকটি সম্পর্কে আরও কৌতূহলী হয়ে পড়লেন। তারা লোকটির সঙ্গে থাকা একজন পুলিশ সদস্যকে চোখ টিপ মেরে দাঁড় করালেন এবং বললেন, মামু! ইবা হন! (ব্যাটা কে?) পুলিশ সদস্য বললেন, জানি না! শুনেছি টকশো করে সরকারের পক্ষে কথাবার্তা কয়...।
সরকার সমর্থক টকশোজীবীদের সাম্প্রতিক হাল-হকিকতের উল্লিখিত ঘটনা জানার পর আমি আশ্চর্য না হয়ে পারিনি। কারণ টেলিভিশনে রাজনৈতিক টকশো করে গত ৭-৮ বছরে তারকা কিংবা মহাতারকা বনে যাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবাইকে কমবেশি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং জানি। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে গত ১০ বছরে যারা টকশোমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সংখ্যা হবে কয়েক হাজার। এদের মধ্যে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন সাকুল্যে মাত্র সাত-আটজন কিংবা বড়জোর নয়-দশ জন। এই স্বল্প সংখ্যক টকশো তারকার মধ্যে প্রায় কেউই ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর নিয়মিতভাবে আগের মতো টকশোতে অংশগ্রহণ করেন না অথবা তাদের টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ ডাকেন না, এতে করে তারা কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা হয়তো সরকার সমর্থক লোকজনই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি শুধু এতটুকু বলতে পারব যে, তাদের বডিগার্ড নিয়ে চলাফেরা করতে হয় না। বরং তারা যদি কোনো জনারণ্যে যান তবে লোকজন আগের চেয়েও অধিক ভক্তিশ্রদ্ধা নিয়ে এগিয়ে আসেন, হাসিমুখে কথা বলেন এবং দেশ-জাতি সম্পর্কে তাদের মুখ থেকে ২-১টি কথা শোনার আবদার করেন। তারপর অবলীলায় বলে ফেলেন, আপনারা আসেন না, তাই টকশো দেখি না, হিন্দি সিরিয়াল দেখি এবং মাঝে-মধ্যে ইউটিউবে গিয়ে আপনাদের পুরনো টকশোগুলো দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই।
বাংলাদেশে টকশোর ইতিহাস বেশি পুরনো নয়, পশ্চিমা দেশগুলোতে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই টকশোর অনুষ্ঠান চালু হলেও গত ৫০ বছরের মধ্যে সিএনএনের ল্যারি কিং লাইভ এবং বিবিসির হার্ড টক সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করে। অন্যদিকে এশিয়ার মধ্যে স্টার টিভির সিমি গাড়োয়াল উপস্থাপিত টকশোটি গুণগতমানে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশের টকশো চালু হয়েছিল চ্যানেল আই-এর মাধ্যমে ২০০৩ সালের জুলাই মাসে। সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় শুরু হওয়া তৃতীয়মাত্রা নামক অনুষ্ঠানটি বিরতিহীনভাবে আজ অবধি মোট ৪৬৭৭টি পর্ব প্রচার করেছে। টকশো সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের সফল টেলিভিশনের উপস্থাপক, কলাকৌশলী এবং প্রযোজকদের সবাই এ যাবৎকালে হয় তৃতীয়মাত্রাকে অনুকরণ বা অনুসরণ করার চেষ্টা করেছে, নতুবা অতিক্রম করার চেষ্টা করেছে। কালের বিবর্তনে অনেক টকশো এবং সেই টকশোর উপস্থাপক হারিয়ে গেছেন, অনেকে পথভ্রষ্ট হয়েছেন। আবার কেউবা নানা বদনামির শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হয়ে জেল খেটেছেন অথবা দেশত্যাগ করে বৈরাগী হয়েছেন।
টকশোর কথা বললেই তৃতীয়মাত্রার নাম এসে যায় নানা কারণে। প্রথমত, এটি দেশের প্রথম টকশো এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্য কোনো টেলিভিশনের টকশোর সঙ্গে তৃতীয়মাত্রার যে কোনো তুলনাই হয় না তা অবলীলায় স্বীকার করেন অনুষ্ঠানটির প্রতিদ্বন্দ্বী এবং কট্টর সমালোচকরা পর্যন্ত। এ ব্যাপারে আমার রয়েছে ভিন্ন অভিব্যক্তি এবং স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি। আমার মতে, বাংলাদেশের সব টকশো তারকার শুরুটা হয়েছিল তৃতীয়মাত্রার মাধ্যমে এবং তাদের তারকা খ্যাতির প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে তারা তৃতীয়মাত্রাকে যেমন মর্যাদা দেয় ঠিক তেমনি অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক জিল্লুর রহমানকে কেন্দ্র করে টকশোকেন্দ্রিক একটি বুদ্ধিবৃত্তিক বলয় গঠন করে দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং রাজনীতির উন্নয়নে যুগপত্ভাবে কাজ করে যাচ্ছিল যার সুফল যেমন দেশবাসী ভোগ করেছে, তেমনি ক্ষমতাসীন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোও পেয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপে না গিয়ে বরং আজকের প্রসঙ্গে আলোচনা করা যাক।
ইদানীংকালের টকশো নিয়ে দেশের জনগণের আবেগ-উচ্ছ্বাস আর আগের মতো নেই। সাধারণ মতামত হলো— জনগণ আগের মতো টকশো দেখে না। ফলে টকশোর আলোচক, উপস্থাপকদের আগের মতো সমীহ তো দূরের কথা, ঠিকমতো চেনে না। পূর্বে টকশোর নিত্যকার আলোচনা নিয়ে প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলো প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেডলাইন প্রকাশ করত। কোনো কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে বিশেষ সংখ্যা বের করত। প্রতিটি পত্রিকা টকশো শিরোনামে একটি নির্দিষ্ট জায়গাজুড়ে প্রতিদিন নিবন্ধ প্রকাশ করত। সরকারি দফতর, সরকার এবং বিরোধী দল প্রবল আগ্রহ নিয়ে রাত জেগে প্রতিটি টকশো দেখত এবং আলোচনার বিষয়বস্তু, আলোচকদের মন্তব্য এবং উপস্থাপকের উপসংহারের বক্তব্য অতীব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করত। বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের ইতিহাসে টকশোর মতো অন্য কোনো অনুষ্ঠান, নাটক বা সিনেমা এতটা গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জন করতে পারেনি। ফলে শান্তিপ্রিয় জনগণ এবং গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহ যেমন টকশোকে শ্রদ্ধা ও সমীহ করত তেমনি অগণতান্ত্রিক এবং দুরাচার শক্তিসমূহ টকশোকে ভয় পেত যমের মতো।
এখন প্রশ্ন হলো— টকশোর বর্তমান দুরবস্থায় কার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান দুরবস্থার জন্য কে বা কারা কতটুকু দায়ী। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে বলে নেই টকশো নামক অনুষ্ঠানমালার নামে টেলিভিশনগুলোতে আসলে হচ্ছেটা কী? ২-১টা অনুষ্ঠান বাদে সবগুলোতেই আলোচক-উপস্থাপক সবাই মিলে সরকার বন্দনায় মত্ত এবং ক্ষেত্রবিশেষে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। মাঝে-মধ্যে সরকারবিরোধী ২-৪ জনকে ডাকা হয় বটে— কিন্তু তারা তেমন সুবিধা করতে পারেন না। উপস্থাপকের সনির্বন্ধ অনুরোধ, নিজেদের নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা এবং ভয় নতুবা টকশোতে অংশগ্রহণের সুযোগ হারানোর ভয়ে বিরোধী দলের লোকজন কৌশলে ধরি মাছ না ছুঁই পানির কায়দায় কথাবার্তা বলতে থাকেন। অন্যদিকে তারকা খ্যাতি পাওয়া লোকজন তো নয়ই এমনকি মোটামুটি যুক্তিগ্রাহ্য এবং সাহসী কথাবার্তা বলতে সক্ষম এমন লোকজনকে টকশোগুলোতে নিমন্ত্রণই জানানো হয় না।
সাধারণ মানুষ মনে করেন, সরকার টকশোর ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অন্যদিকে, সরকারি নীতিনির্ধারণী মহলের দাবি সরকার কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। গত ছয় মাস কোনো টেলিভিশনে সরকারের পক্ষ থেকে ফোন করে কোনো টকশোর ব্যাপারে আপত্তি বা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি অথবা কোনো আলোচককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি নীতিনির্ধারণী মহলের কয়েকজন আমাকে বলেছেন যে, টিভিগুলো অহেতুক আশঙ্কায় আক্রান্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদের ওপর সেলফ সেন্সরশিপ জারি করেছে। তারা সরকারকে খুশি করার মানসে অথবা তেল মারার অভিলাষে সরকার তোষণে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। অন্যদিকে তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কথা বলতে পারেন এমন আলোচকদের নিমন্ত্রণ করা থেকে বিরত থাকছে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, কয়েকটি টেলিভিশন কেন্দ্র সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবং কয়েকটি জনপ্রিয় টকশোর অনুষ্ঠান সরকারি চাপে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হওয়ার কারণে টেলিভিশন মালিকরা রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা নতুন করে যেমন ঝামেলায় জড়াতে চান না, তেমনি সরকারি রোষানলে পড়ে নিজেদের পুঁজি এবং বিনিয়োগ বিনষ্ট করতে মোটেও ঝুঁকির বলয়ে প্রবেশে আগ্রহ দেখান না। ফলে পুরো টকশো শিল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। টিভিগুলো তাদের নিয়মিত দর্শক হারাচ্ছে এবং বিদেশি চ্যানেলমুখী হয়ে পড়তে জনগণকে বাধ্য করছে। পরিণামে দেশের বাজারের শত কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচ্ছে এবং টেলিভিশন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সাংবাদিক এবং কলাকৌশলীরা তাদের চাকরি জীবনের জৌলুস হারানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
সাম্প্রতিককালের টকশোগুলোতে অতিমাত্রায় সরকারি তোষণ, একপেশে বক্তব্য এবং একতরফা প্রচার প্রোপাগান্ডার কারণে সরকার যেমন দেশ-বিদেশে ইমেজ হারাচ্ছে তেমনি টকশোতে অংশগ্রহণকারীরা সাধারণ মানুষের হাসির খোরাক এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য-ঠাট্টা মশকরার পাত্রে পরিণত হচ্ছেন। আলোচকদের অতিমাত্রার সরকার তোষণ নিয়ে খোদ সরকারি মহলে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে নিজেরাই অবাক হয়ে ভাবেন— ওরা কারা? অন্ধভাবে দলের পক্ষে বলতে গিয়ে ওরা তো দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে এবং সরকারকে ক্রমেই গণবিমুখ বানিয়ে ফেলছে। রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ সম্পর্কে জনগণের মনে ঘৃণা-ধিক্কার পয়দা হচ্ছে। গণতন্ত্রে ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনরোষ ধূমায়িত হচ্ছে। আর এ কারণেই অখ্যাত এবং অচেনা মুখের সরকার সমর্থক টকশোজীবীরা একাকী জনগণের মধ্যে যেতে ভয় পান— তাদেরও বডিগার্ড দরকার পড়ে।
গত ১০ বছরে টকশোর কল্যাণে অনেক কিছু হয়েছে। মাইনাস টু থিউরি ব্যর্থ, ১/১১’র কুশীলবদের বিদায়। ২০০৮ সালের নির্বাচন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মানুষের মনে গণতান্ত্রিক ভাবধারা জাগরূক করা। প্রশাসনকে গণমুখী, জবাবদিহিতামূলক এবং স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রে টকশোগুলো যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তেমনি রাজনৈতিক সদাচার, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি এবং গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিল। বর্তমানের বেহাল এবং আজব প্রকৃতির টকশোর কারণে অতীতের সুফলগুলোর ঠিক বিপরীত প্রতিক্রিয়াগুলো নীরবে-নিভৃতে সৃষ্টি হয়ে পুরো দেশকে গ্রাস করে ফেলার উপক্রম করেছে। চারদিকে শুরু হয়েছে অবিশ্বাস, সন্দেহ এবং একজন অন্যজনকে অসম্মান ও অপমান করার প্রতিযোগিতা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পরিণতি কারও জন্যই শুভকর হবে না।
এবার শিরোনাম প্রসঙ্গে কিছু বলে নিবন্ধের ইতি টানব। আজকের শিরোনাম ছিল— আজব টকশোর নিরপেক্ষ ময়নাতদন্ত। সম্মানিত পাঠক নিশ্চয়ই জানেন যে, কোনো প্রাণী মারা যাওয়ার কারণ উদ্ঘাটন করার জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজন পড়ে। টকশোর নামে গত দুই-আড়াই বছর ধরে যা চলে আসছে তার বেশির ভাগই ছিল এক আজব এবং অদ্ভুত তামাশা। কালের বিবর্তনে এটা প্রমাণিত যে, জনগণ ওসব তামাশা পছন্দ করেনি। ফলে টকশোর নামে প্রদর্শিত আজব এবং আজগুবি উপাখ্যানগুলো মাঠে মারা গেছে। খুব দ্রুত যদি লাশগুলোর সৎকার করা না হয় তবে এখনো যারা সুস্থ ও সবল আছেন তারাও লাশের মাংস পচা দুর্গন্ধ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।