এবারের বাজেটে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের

এবারের বাজেটে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। অন্যবার যেমন বাজেট হয়েছে এবারও তেমন বাজেটই হবে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার বাজেট তৈরি করবে। সারা বিশ্বে অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা, বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে সরকার সে বিষয়টিতেও প্রাধান্য দেবে। গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আইতে জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় তৃতীয় মাত্রায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গত চারটি বাজেটের তুলনায় এবারের বাজেট অনেক ভালো হবে। আগের অর্থবছরে বাজেটগুলো ছিল চাপের মধ্যে থেকে করা। তবে বাজেটের আকার ছোট কি বড় হবে তা নির্ভর করবে ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের ওপর। তিনি বলেন, রিকশাচালক, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, গার্মেন্ট কর্মী, দিনমজুর সবার প্রতি লক্ষ্য রেখে সরকার বাজেট তৈরি করবে। তবে বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী কেন যে হতাশা প্রকাশ করেন তা আমি জানি না। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এবারও বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতের ওপর প্রাধান্য দেবে। এর মধ্যে শিল্প, গার্মেন্ট, ইলেকট্রনিঙ্, পোলট্রি, পদ্মা সেতু ও শিক্ষা খাত অন্যতম। তিনি বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন জাতীয় রাজস্ব আয় হতো ৪৯ হাজার কোটি টাকা। আর এখন হয় এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর রাজস্ব বাড়ছে। আদায়ও হচ্ছে। তবে যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের ধরতে হবে। জাতীয় রাজস্ব হচ্ছে মূল আয়। যে খাতে কর ফাঁকি দেওয়া হয় সে খাতে কঠোর হতে হবে। যে ব্যক্তি কর ফাঁকি দেন তার বিরুদ্ধেও কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, বাজেট প্রতি বছর বাস্তবায়ন হয়। তাই বাজেট নিয়ে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব আসেনি। গত চার বছর অর্থনীতি এলাকায় আমরা ভালো করেছি। মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমেছে। বিদেশে রপ্তানির পরিমাণও সাত ভাগ বেড়েছে। অতি অল্প সময়ে ইউরোপকে সুপারসিট করবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে মাথাপিছু আয় ছিল ৪৭৬ ডলার। এখন দাঁড়িয়েছে ৯০০ ডলারে। রেমিট্যান্সও বেড়েছে। বাইরের দেশগুলো থেকে প্রতি বছর রেমিট্যান্স আসছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা দুই ধরনের। একটি পরিকল্পিত, অন্যটি সাধারণ। এখন পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা বিকল করা হচ্ছে। হরতাল দিয়ে দেশের শিল্প-কারখানাগুলোর ক্ষতি করা হচ্ছে। কেন এসব করা হচ্ছে যারা করছেন তারাই জানেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতে সরকারের ভর্তুকি দিতে হয়। কৃষি ও শিল্প খাতে সফলতা অর্জিত হয়েছে। তবে পাওয়ার সেক্টরে সরকারকে প্রতিনিয়তই ভর্তুকি দিয়ে যেতে হচ্ছে। বাজেট থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা পাওয়ারে যাচ্ছে। তবে কিছু ক্ষতি হয়েছে গত বছর। হলমার্ক আর বিসমিল্লাহ গ্রুপের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান বাজেটের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। মিডিয়া এখনকার মতো শক্তিশালী হলে হয়তো এ দুর্নীতিগুলো হওয়ার সুযোগ থাকত না।