ক্ষমতা নিশ্চিত করতে সংলাপের কথা বলা হচ্ছে
বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০১৩
দুই দল ক্ষমতা নিশ্চিত করতে সংলাপের কথা বলছে। এখানে জনগণের কোনো স্বার্থ জড়িত নেই। আমাদের রাজনীতি থেকে জনগণকে বিতাড়িত করেছে দুই দল। জেএসডি সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী আ স ম রব গত মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইতে 'তৃতীয় মাত্রা' শীর্ষক টকশোয় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। তিনি রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সঞ্চালক ছিলেন জিল্লুর রহমান। আরও অংশ নেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
সাম্প্রতিক রাজনীতিতে সংলাপ নিয়ে আ স ম রব বলেন, সংলাপ কীসের? রাজনীতির জন্য সংলাপ হতে পারে। জনগণের জন্য রাজনীতি। জনগণই আজকে রাজনীতিতে মাইনাস। তাহলে এ সংলাপ দিয়ে কী হবে। তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় এবং বিরোধী দলে আছেন তারা ক্ষমতার প্রশ্নে অন্ধ। তাদের মননে জনগণ নেই। আগামী নির্বাচন নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধানের জন্য কূটনীতিকরা চেষ্টা করছেন। এ চেষ্টা সফল হবে না। কারণ অতীতে বাংলাদেশে কোনো সংলাপ সফল হয়নি, এখনো হবে না। সরকার ও বিরোধী দল চাচ্ছে ক্ষমতায় থাকব অথবা যাব। এ দুই মেরু কীভাবে এক হবে?রব বলেন, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক সরকার চায় বলে মনে হয় না। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আজকে জাতি গভীর সংকটে। এর কোনো আপাতসমাধান করে লাভ নেই। স্থায়ী সমাধান করতে হবে। সরকার যে সমাধানের কথা বলছে তা হচ্ছে সালিশ মানি তাল গাছ আমার। তারা সংলাপ করে জুলাই-আগস্ট কাটানোর ফন্দি আঁটছে।
জেএসডি সভাপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা নিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা হয়েছিল সে রাষ্ট্র নেই। একটি পরস্পরবিরোধী সংবিধান তৈরি করা হয়েছে। সংবিধানের সব বিধিবিধান ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলের। এ সংবিধানে যেখানে ফ্লোর ক্রসিং নেই, অনির্বাচিত ব্যক্তিকে স্পিকার করা হয়; এর সমাধান হচ্ছে সংবিধানের আমূল পরিবর্তন। স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে হবে। একটি দক্ষ প্রশাসন গঠন করতে হলে সাংবিধানিক কাঠামো থাকতে হবে। সোনালী ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা লুট হবে, রানা প্লাজা ধসে পড়বে; দেখার কেউ নেই। দুর্নীতিবাজকে দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট দিলে যে রাষ্ট্র হওয়ার কথা সেই রাষ্ট্রই আছে। তাই সংলাপ একটা খেলা।তিনি আরও বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়ে গেছে। এটা বাতিল হয়নি। কারণ আদালত রায়ে বলেছেন, সরকার বিপদে পড়লে আরও দুবার এ ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে পারে। তাই এসব দোহাই দেওয়ার কোনো ভিত্তি নেই।
Source : Bangladesh Pratidin