যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সমর্থন করেনি
শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধার জন্য পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের সমর্থন করেছে; কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সমর্থন করেনি। পরবর্তীকালে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, বিশ্বের ৪৮টি দেশের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা এটাকে অন্তর্ভুক্ত করব। এরপর আমি একটি উচ্চপর্যায়ে মিটিং করি। সেটি ছিল ফলোআপ মিটিং। সেখানে আমি এবং নেদারল্যান্ডসের ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার দুজনই সভাপতিত্ব করি। এর পর আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং কিছু সংস্থা আমাদের সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডাসহ অনেক দেশ আমাদের মার্কেট একসেস দিয়েছে। আজ কানাডায় আমরা মার্কেট একসেস পাই। বৃহস্পতিবার চ্যানেল আইয়ের তৃতীয়মাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুর রহমান অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অস্ত্র ছাড়া সব কিছুই শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিয়েছে।
জাপান একমাত্র চামড়াজাত পণ্য ছাড়া সবকিছুতেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। ভারতে তামাক এবং অ্যালকোহল ছাড়া সবকিছুই শুল্কমুক্তভাবে রপ্তানি করতে পারি। তবে কতগুলো স্বল্পোন্নতদেশ বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়নি। তারা যাদের সুবিধা দিয়েছে তাদের হয়তো ধারণা ছিল, বাংলাদেশ রপ্তানি করতে পারবে না। আর তারা কতগুলো দেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা খুব সামান্যই জিএসপি সুবিধা পেয়েছিলাম। প্লাস্টিক, তামাক, সিরামিকস এবং পাটজাত দ্রব্যের ওপর এই জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। যে বছর আমাদের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে সে বছরের আগের বছর জিএসপির আওতায় আমাদের রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ২৪ মিলিয়ন ডলার। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের মোট রপ্তানি হলো ৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে সেই রপ্তানিতে আমরা কোনো সুবিধাই পাইনি। এমনকি মার্কেট একসেস, জিএসপি সুবিধা- কোনোটাই আমাদের দেওয়া হয়নি।