মঙ্গলের কক্ষপথে ভারতের ‘মঙ্গলযান’

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মঙ্গলযান’ নামের ওই রোবোটিক প্রোব বুধবার মঙ্গলের মধ্যাকর্ষণ বলয়ে প্রবেশ করে সফলভাবে কক্ষপথে অবস্থান নেয়। শিগগিরই এই উপগ্রহটি লোহিত গ্রহ মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ শুরু করবে এবং পৃথিবীতে ছবি পাঠাবে।বুধবার ‘মঙ্গলযান’ যখন কক্ষপথে প্রবেশ করছে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যান্ড রিচার্স অর্গানাইজেশনের (ইসরো) নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তখন টান টান উত্তেজনা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেখানে উপস্থিত।

মঙ্গলের কক্ষপথে মঙ্গলযানের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে করতালিতে ফেটে পড়েন নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সবাই।মোদী বলেন, তার দেশের বিজ্ঞানীরা ‘প্রায় অসম্ভবকে’ সম্ভব করে ফেলেছে।“পরিসংখ্যান আমাদের পক্ষে ছিল না। বিশ্বে এ ধরনের ৫১টি অভিযানের মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ২১টি। তবে আমরা পেরেছি।”এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও রাশিয়াই মঙ্গলের কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠাতে সফল হয়েছে। তবে ভারতের সাফল্য এসেছে প্রথম চেষ্টাতেই; তাদের খরচও হয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কম। গেল সোমবারই যুক্তরাষ্ট্রের উপগ্রহ ‘মাভেন’ মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায়।

মঙ্গলযানের সাফল্যে ভারতীয় স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশনকে অভিনন্দন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।নাসার এক টুইটে বলা হয়, “মঙ্গলে পৌঁছানোয় ইসরোকে অভিনন্দন!”অভিযান সংশ্নিষ্ট বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আজ সমগ্র ভারতের উচিত আমাদের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানানো। স্কুল, কলেজগুলোতেও এ বিজয় উদযাপন করা উচিৎ।”

 

 

মোদী বলেন, “আমাদের ক্রিকেট দল কোনো টুর্নামেন্টে জয় পেলে পুরো জাতি তা উদযাপন করে। আমাদের বিজ্ঞানীদের অর্জন তার চেয়েও বড়।”এ অভিযানে ভারতের মোট ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে কম খরচের মঙ্গল অভিযান এটি।ভারতের বিজ্ঞানীদের কাছে মঙ্গলযানের আনুষ্ঠানিক নাম মার্স অরবিটার মিশন (এমওএম)। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বঙ্গোপসারের উপকূলে শ্রীহরিকতা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এর যাত্রা শুরু হয়।